একজন সুদর্শন যুবক ব্যবসায়ী উজ্জয়িনে থাকতেন। তার নাম ছিল চারুদত্ত। সে একসময় খুব ধনী ছিল কিন্তু একদিন সে ব্যবসায়ে সবকিছু হারিয়ে ফেলল। কিন্তু তারপরও সে তার পূর্বপুরুষদের বাড়িতে ই থাকত। একসময় এই বাড়িটি অবশ্যই খুব বিলাসবহুল ছিল, কিন্তু এখন ধীরে ধীরে সেটিও ধ্বংসাবশেষ পরিণত হচ্ছে। চারুদত্তের হয়তো ধন -সম্পদ ছিল না, কিন্তু তার উদারতা ও ভদ্রতা আগের মতোই রয়ে গেল। মৈত্রেয় ছিলেন চারুদত্তের বন্ধু ও সঙ্গী। তারা একই বাড়িতে একসাথে থাকতেন। একজন গৃহকর্মী তার গৃহস্থালি কাজকর্ম করতেন। তার খুব ভালো স্বভাব ছিল। এক সন্ধ্যায় চারুদত্ত এবং মৈত্রেয় উভয়েই উঠোনে একটি পাথরের বেঞ্চে বসে ছিল। তখনই সে শুনতে পেল কেউ দরজায় কড়া নাড়ছে।
"কে হতে পারে?" চারুদত্ত জিজ্ঞাসা করল।
মৈত্রেয়ের দিকে তাকিয়ে চারুদত্ত বলল, দেখো তো কে?
মৈত্রেয় তাড়াতাড়ি উঠল কারণ কেউ আবার দরজায় নক করল এবং একজন মহিলা বাইরে থেকে ডাকছিল, "দয়া করে দরজা খুলুন, দরজা খুলুন।"
চারুদত্তও উঠে মৈত্রেয়র পেছনে পেছনে চলল। সে দরজা খুলে দিল। বাইরে দুটি যুবতী দাঁড়িয়ে ছিল।
"ক্ষমা করো," মিষ্টি কণ্ঠে একটি যুবতী বলল, "আমাদের এখানে কিছুক্ষণ থাকতে দিন - কিছু দুর্বৃত্ত আমাদের অনুসরণ করছে। অবশ্যই,"
চারুদত্ত বললেন, "এটাকে তোমারই ঘর মনে কর। আমার অনেক খারাপ লাগছে কি এখানে কোন আলো নেই। আপনি ভিতরে আসুন, আমি আলোর ব্যবস্থা করছি। "
চারুদত্ত তাড়াতাড়ি গিয়ে একটি জ্বলন্ত বাতি নিয়ে এসে মেয়েদের সামনে রাখল। এখন চারুদত্ত তার সামনে মেয়েটিকে দেখে হতবাক হয়ে গেল, এত সুন্দর মেয়ে সে আগে কখনো দেখেনি। সে উত্তেজিত বোধ করলো। এই উত্তেজনার কারণে, সে সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকলো। সে কি বলবে বা কি করবে বুঝতে পারছিল না??